হাজার বছর ধরে চলা পৃথিবীর স্বাভাবিক প্রথা, বৈচিত্রময় সংস্কৃতিকে বদলে সেখানে বৈশ্বিক পশ্চিমা সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া, চোখ ধাঁধাঁনো বৈজ্ঞানিক এবং শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে পরাভূত করা, খাদ্যাভাস, পোশাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে চিন্তা-ভাবনা এমনকি যৌন স্বাভাবিকতাকে কুলষিত করে সেখানে ক্ষয়িঞ্চু, পাশবিক মূল্যবোধ চালু করা, সামাজিক জীবন থেকে ন্যায়কে বিতাড়িত করে বিশ্বব্যাপী জুলুম প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে প্রকৃত মুদ্রাকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে কাগুজে মুদ্রা চালু করা এবং এর মাধ্যমে সমগ্র মানবতাকে অর্থনৈতিক দাসে পরিণত করা, প্রাকৃতিক খাবার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে সেখানে জেনেটিক্যালি মোডিফাইড খাবারের প্রচলন করে মানুষকে অশুভ মেডিকেল মাফিয়ার হাতে সোপর্দ করা, উগ্র মতবাদের বিস্তৃতি এবং এর মাধ্যমে ইসলামকে হিংস্র হিসেবে তুলে ধরা ইত্যাদি সহ সমগ্র বিশ্বকে “বৈশ্বিক ফাসাদে” ভরে দেওয়ার পিছনে কি কেউ আছে? নাকি সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে।
যদি আপনার উত্তর হয়, হ্যা! সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে তবে আপনি আপনার স্বাভাবিক জীবনযাপন করুন। আর যদি আপনার উত্তর হয়, না! কোন কিছুই তার স্বাভাবিক নিয়মে চলছে না, তবে এই বইটি আপনার জন্যে। এই বইটিতে অত্যন্ত যত্নের সাথে সেই শূন্যস্থানকে পূরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
ইয়াজুজ ও মাজুজ বিষয়টি কুর’আনে উল্লেখিত। কুর’আন ইয়াজুজ-মাজুজকে “বৈশ্বিক ফাসাদে”র সাথে সম্পৃক্ত করেছে, যার মানে দাড়াচ্ছে তাদের দ্বারা সমগ্র বিশ্ব ফাসাদে ভরে যাবে কোন কিছুই তাদের “বৈশ্বিক ফাসাদ” থেকে রেহাই পাবে না।
দ্বিতীয়ত এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে কুর’আন ইয়াজুজ-মাজুজকে একটি ধ্বসংপ্রাপ্ত শহর ও সেখানের অধিবাসীদের সাথে এবং সেখানে তাদের পুনঃপ্রত্যাবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত করেছে।
এই দুটো বিষয় এবং এদের সাথে জড়িত আরোও নানা ঐতিহাসিক তথ্য-প্রমাণের আলোকে বইটিতে ইয়াজুজ ও মাজুজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
১ম ই-বুক সংস্করণ: সফর ১৪৩৭ হিজরি/নভেম্বর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশনা : মেটাকেভ পাবলিকেশন্স
প্রচ্ছদ : শিহাব মোকশেদ
পৃষ্ঠা: ২৪৩
মূল্য: ই-বুকটি বিনামূল্যে ডাউনলোড যোগ্য
মন্তব্য বা যোগাযোগের জন্য অনুগ্রহ করে নীচের ফর্মটি পুরন করুন
Web Experience by MetaKave